ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্রীদের রাজনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাঠানোই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন অভিভাবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ইসলামীয়া মহিলা কামিল(মাস্টার্স ) মাদ্রাসা কক্সবাজার এর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ নুরীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। অভিযোগে অভিভাবকরা বলেন,অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে মাদ্রাসার ছাত্রীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যবহার করেন।

জানা যায়,১২ মার্চ বিকেল ৩ টায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে(শহীদ দৌলত) কক্সবাজার সদর-রামু আসনে মনোনীত সংরক্ষিত নারী এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক কে সংবর্ধনা দেন আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের উদ্যােগে। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি ছিলো ইসলামীয়া মহিলা কামিল (মাস্টার্স ) মাদ্রাসা কক্সবাজারের ছাত্রীদের। ছাত্রীরা মাদ্রাসার বোরকা পরিহিত থাকায় বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসে।এতে অভিভাবকরা চটেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাফর উল্লাহ নুরীর বিরুদ্ধে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক অভিভাবক বলেন,সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন ছিল।এতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েরা না যাওয়ায় একদিকে যেমন বেমানান ছিল অন্যদিকে মেয়ের আসার ইফটিজের শিকার হয়েছে শুধু অধ্যক্ষ নুরীর কারণে।

নাম গোপন রাখার শর্তে এক ছাত্রী বলেন,অধ্যক্ষ হুজুরের নিদের্শে মাদ্রাসা থেকে সারিবদ্ধ করে আমাদেরকে হাটিয়ে সংবর্ধনা স্থলে আনা হয়েছে।

আবুল কালাম নামের এক অভিভাবক বলেন,জাফর উল্লাহ নুরী জামায়াতের সক্রিয় লোক।এখন ব্যক্তিগত সুবিধার নেয়ার জন্য নুরী ছাত্রীদের যেইখানে সেইখানে পাঠান।আমরা সন্তানদের শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছি।কিন্তু জাফর উল্লাহ প্রায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কোমলমতি ছাত্রীদের ডালপালা হিসেবে ব্যবহার করছে।অথচ শহরের অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাউকে পাঠাইনি।তার যদি এমপিকে সংবর্ধনা দেয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে মাদ্রাসায় দিতে পারতো।

এবিষয়ে জানতে ইসলামীয়া মহিলা কামিল(মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাফর উল্লাহ নুরীর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ওই প্রতিবেদককে বলেন,আরো বেশি করে লিখেন অভিভাবকরা যাতে বেশি করে ক্ষুব্ধ হয়।

এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার সালেহ উদ্দিনের সাথে কথা হলেন তিনি বলেন,রাজনৈতিক কোনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পোশাক পড়ে শিক্ষার্থীদের পাঠানোর নিয়ম নেই।তিনি(জাফর উল্লাহ নুরী) যদি মাদ্রাসার ছাত্রীদের পাঠিয়ে থাকেন এটা অন্যায় হয়েছে।

পাঠকের মতামত: